# কেএসআরএম অফিসে ভিড় করছেন স্বজনরা, যে কোনো মূল্যে উদ্ধারের আশ্বাস
# জাহাজে খাবার আছে ২৫ দিনের, পরিবহণরত কয়লা নিয়ে শঙ্কা
# উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় থাকা নাবিকদের বাড়িতে কান্নার রোল
জনতা ডেস্ক
ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহতে জিম্মি ২৩ নাবিককে মুক্তি দিতে ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণ দাবি করেছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। প্রতি ডলার ১০৯ টাকা হিসেবে ৫৪ কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ শিগগিরই না দিলে তাদের মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিক ও ক্রুদের খোঁজে জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের চট্টগ্রাম অফিসে ভিড় করছেন স্বজনরা। এসময় কেএসআরএমের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়, যে কোনো মূল্যে নাবিক ও ক্রুদের সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হবে। ওই জাহাজে খাবার আছে ২৫ দিনের। পরিবহণরত কয়লা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন জিম্মি বাংলাদেশি নাবিকদের স্বজনরা। প্রিয়জনকে দ্রুত ফিরিয়ে আনতে আকুতি জানিয়ে সরকার ও জাহাজের মালিকপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। জিম্মির পর কয়েকটি ভিডিও বার্তা নাবিকরা পাঠালেও, মোবাইল ফোন জব্দ করে নেয়ার পর থেকেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। জিম্মিদের পরিবারের দাবি, সোমালিয়ার জলদস্যুরা ২৩ নাবিককে মুক্তি দিতে ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণ দাবি করেছে। জানা গেছে, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিক ও ক্রুদের খোঁজে জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের চট্টগ্রাম অফিসে ভিড় করছেন স্বজনরা। এসময় কেএসআরএমের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়, যে কোনো মূল্যে নাবিক ও ক্রুদের সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হবে। ঘটনার পর থেকেই নাবিকদের স্বজনরা কেএসআরএমের অফিসে যোগাযোগ শুরু করেন। গতকাল বুধবার সকালে অনেকেই চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদে কবির গ্রুপের অফিসে আসেন।
কবির গ্রুপের অফিসে যারা আসেন তাদের কারও বাবা, কারও সন্তান বা স্বজন জলদস্যুদের হাতে জিম্মি রয়েছেন। এসময় তাদের অনেককেই জিম্মি স্বজনদের ছবি প্রদর্শন করতে দেখা যায়। এমভি আবদুল্লাহর ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদের পরিবারও আসে কবির গ্রুপের অফিসে। ছেলে আবদুল্লাহর ছবি হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন তার মা পঞ্চাশোর্ধ্ব জোৎস্না বেগম। তিনি বলেন, সর্বশেষ গতকাল সন্ধ্যায় কথা হয়েছে। এরপর থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের সন্তানদের ফেরত চাইতে এসেছি। স্বামীর খোঁজে এসেছিলেন জিম্মি নাবিক নুরউদ্দিনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি বলেন, অডিও বার্তায় জানিয়েছেন তাদের জাহাজ সোমালিয়ার উপকূলের দিকে নিয়ে যাচ্ছে দস্যুরা। জাহাজে তখন অস্ত্রশস্ত্রসহ ৫০ জনের মতো জলদস্যু ছিল। তাদের মুক্ত করতে আমরা যেন মালিকপক্ষের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করি- এই কথা বলেছেন নুরউদ্দিন। ফেরদৌসের মতই স্বামীর খোঁজে আসেন নাবিক শফিকুল ইসলামের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা টাকা-পয়সা কিছু চাই না, শুধু সন্তানকে তার বাবার চেহারাটা দেখাতে চাই। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, গতকাল বুধবার সকালেও নাকিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। সবাই ভালো আছেন। ওই জাহাজটিতে ২০-২৫ দিনের খাবার রয়েছে। ২০০ টন বিশুদ্ধ পানি রয়েছে বলে জানা গেছে। আমরা জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। যে কোনো মূল্যে নাবিক ও ক্রুদের সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করার বিষয়ে জোর দিচ্ছি। সবাইকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে যা যা করার দরকার সব করবো। জিম্মি নাবিকদের মধ্যে রয়েছেন- জাহাজের মাস্টার মোহাম্মদ আবদুর রশিদ। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর গোসাইলডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। চিফ অফিসার আতিক উল্লাহ খানের বাড়ি চন্দনাইশ উপজেলার বরকলে, সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী সাতকানিয়া উপজেলার বাসিন্দা, থার্ড অফিসার এন মোহাম্মদ তারেকুল ইসলাম ফরিদপুর জেলার মধুখালি উপজেলার বাসিন্দা। ডেক ক্যাডেট সাব্বির হোসাইন টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার বাসিন্দা, চিফ ইঞ্জিনিয়ার এ এস এম সাইদুজ্জামান নওগাঁ সদর উপজেলার বাসিন্দা, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুল ইসলাম ও থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. রোকন উদ্দিন খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা উপজেলার বাসিন্দা, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ ও ইলেকট্রিশিয়ান ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ ফেনী জেলার বাসিন্দা, ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানার বাসিন্দা। এছাড়া ক্রুদের মধ্যে মো. শরিফুল ইসলামের বাড়ি চট্টগ্রাম নগরের বন্দর থানা এলাকায়। মো. আসিফুর রহমানের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া, মোশাররফ হোসেন শাকিল ও আইনুল হকের বাড়ি মিরসরাই উপজেলায়। মো. সাজ্জাদ হোসেন, নুর উদ্দিন ও মোহাম্মদ সামসুদ্দিনের বাড়ি কর্ণফুলী উপজেলায়। এছাড়া মো. আনোয়ারুল হকের বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ, জয় মাহমুদের বাড়ি নাটোরের বাগাতিপাড়া থানায়, মো. নাজমুল হকের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার কামারকান্দা থানায় এবং মো. আলী হোসেনের বাড়ি বরিশালের বানারীপাড়ায়।
জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা মো. আতিকউল্লাহ খান এক অডিও বার্তায় জানিয়েছেন, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’য় ২০ থেকে ২৫ দিনের মতো খাবার আছে। এছাড়া বিশুদ্ধ পানি রয়েছে ২০০ টন। তবে দাহ্য হওয়ায় জাহাজে পরিবহণরত ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। ভারত মহাসাগরে জলদস্যুরা যখন এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছিল, তখন কৌশলে তিনি এই বার্তা পাঠান।
আতিকউল্লাহ খান আরও বলেন, প্রক্সিমেটলি ২০২৫ দিনের প্রোভিশন (রসদ) আছে স্যার। ২০০ মেট্রিক টন ফ্রেস ওয়াটার আছে। আমরা অলরেডি সবাইকে বলছি ফ্রেস ওয়াটার সেফলি ব্যাবহার করতে। প্রোভিসনও (রসদ) আমরা ওভাবে হ্যান্ডেল করবো। জাহাজে থাকা ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমাদের একটা প্রবলেম হচ্ছে, আমাদের জাহাজে কোল কার্গো আছে। অ্যাবাউট ফিফটি ফাইভ থাউজ্যান্ডস। এটি একটু ডেইঞ্জারাস কার্গো, এটা হেজার্ড আছে। এটার মিথেন কনসেনট্রেশন বাড়ে। সর্বশেষ অক্সিজেন লেভেল ৯-১০ পার্সেন্ট ছিল। এটা রেগুলার আপডেট নিতে হয়। ইনক্রিজ হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ প্রয়োজন হবে। এসময় তিনি কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান।
ওই অডিও বার্তায় জাহাজে জলদস্যুদের হামলার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, গ্রিনিচ মান সময় ৭টা ৩০ মিনিট (বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা)। এই সময় একটা হাই স্পিডবোট (দ্রুতগতির স্পিডবোট) আমাদের দিকে আসতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে অ্যালার্ম দেই। আমরা সবাই ব্রিজে গেলাম। ক্যাপ্টেন স্যার আর জাহাজের দ্বিতীয় কর্মকর্তা ব্রিজে ছিলেন তখন। আমরা এসওএস (জীবন বাঁচানোর জরুরি বার্তা) করলাম। ইউকে এমটিওতে (যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন) যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। তারা ফোন রিসিভ করেনি। এরপর ওরা (জলদস্যুরা) চলে এলো। আতিক উল্লাহ খান বলেন, তারা ক্যাপ্টেন স্যার ও দ্বিতীয় কর্মকর্তাকে ঘিরে ফেললো। আমাদের ডাকলো। আমরা সবাই এলাম। এ সময় কিছু গোলাগুলি করলো। সবাই ভয় পেয়েছিলাম। সবাই ব্রিজে বসে ছিল। তবে কারও গায়ে হাত দেয়নি। এর আগে জিম্মি করা ইরানের মালিকানাধীন একটি মাছ ধরার জাহাজ দিয়ে তারা সাগরে বড় জাহাজ খুঁজতেছিল। আমাদের জাহাজটি থামিয়েছে তারা। জাহাজের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আমাদেরও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সর্বশেষ গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে নাবিকদের একজন ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ পরিবর্তিত পরিস্থিতির অবস্থা জানিয়ে তার ভাতিজাকে ভয়েস মেসেজ করেন। তিনি বলেন, আমাদের সোমালিয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমরা আজ বৃহস্পতিবার সেখানে পৌঁছাবো। যতটুক কথা হয়েছে, সেখানে আমাদের অপর একটি পার্টির কাছে হস্তান্তর করা হবে। এদিকে জলদস্যুদের কবলে পড়া এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের ২৩ নাবিকের একজন টাঙ্গাইলের সাব্বির হোসেন। তিনি জেলার নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ডাঙা ধলাপাড়া গ্রামের হারুনুর রশিদ ও সালেহা বেগম দম্পতির একমাত্র ছেলে। একমাত্র ছেলের জিম্মির খবর শুনে কাঁদছেন বাবা হারুন অর রশিদ। মা সালেহা বেগম বুক চাপড়িয়ে কাঁদছেন আর বিলাপ করছেন। স্বজনদের দাবি, সাব্বিরসহ জিম্মি সবাইকে যেন দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হয়।
জিম্মিদের মধ্যে রয়েছেন বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বিসারাকান্দি ইউনিয়নের উমারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হোসাইন মো. আলী। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, দুইমাস আগে বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিক হিসেবে যোগদান করেছিলেন আলী। গত মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কয়লাবোঝাই জাহাজ নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুর কবলে পড়ে জাহাজটি। জিম্মি করা হয় জাহাজে থাকা বাংলাদেশি ২৩ জন নাবিক ও ক্রুকে। জলদস্যুরা যখন জিম্মি করে তখন ফোনে বার্তা দিয়ে পরিবারকে আলী জানিয়েছিলেন, হয়তো মুক্তি পাওয়ার আগে আর যোগাযোগ হবে না। এ কথা শোনার পর থেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েছে তার পরিবার।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে নাবিক আলীর স্ত্রী ইয়ামনি বলেন, কোরবানির ঈদে বাড়িতে ফেরার কথা ছিল আলীর। পরিকল্পনা ছিল দু’জন মিলে ঈদের ছুটিতে কোথাও ঘুরতে যাবেন। এখন স্বামীর প্রাণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। অপরদিকে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিক আনোয়ারুল হক রাজুর (২৯) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বাড়িতে চলছে কান্নার রোল। পরিবারে বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। তাকেসহ জিম্মি সবাইকে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা। গতকাল বুধবার দুপুরে রামপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আজিজুল হক মাস্টার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, জিম্মি নাবিক রাজুর বাবা-মা, ভাই-বোন সবাই কান্নাকাটি করছেন। আনোয়ারুল হক রাজু রামপুর গ্রামের আজিজুল হক মাস্টারের ছেলে। এক বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট। ২০১৬ সালে চট্টগ্রামের ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট (এনএমআই) থেকে সিডিসি কোর্চ শেষে নাবিক হিসেবে জাহাজে যোগদান করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, ভারত মহাসাগর থেকে ছিনতাই হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকদের ফেরত আনতে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে থাকা জাহাজের সঙ্গে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়নি। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, নাবিকদের ছাড়াতে মুক্তিপণ দেয়া হবে কি না, কৌশলগত কারণে তা এখনই প্রকাশ করা হবে না।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, যেকোনও মূল্যে জিম্মি নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌবাহিনী এবং আমরা যৌথভাবে কাজ করছি। গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুরা বাংলাদেশি জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে সেটি সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে যায় তারা। জাহাজটিতে ২৩ বাংলাদেশি নাবিক জিম্মি অবস্থায় রয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌবাহিনী এবং আমরা যৌথভাবে কাজ করছি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
